এক মাস আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নিয়েছিল। সরকার কেমন করছে তা বলার জন্য হয়তো এক মাস খুব লম্বা সময় নয়। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটের বিচারে একটা ভবিষ্যদ্বাণী চাইলে দেয়াই যায়। সরকার যেহেতু জনগণের ইশতেহার নিয়ে হয়নি, বরং হয়েছে মৌন সম্মতিতে, সেহেতু সমালোচনা সামনে আনা জরুরী।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটা বিশেষত্ব হলো উপদেষ্টা নিয়োগ দেয়া হয়েছে 'দক্ষতা'র ভিত্তিতে। অর্থাৎ উপদেষ্টারা তাদের অভিজ্ঞতা আর দক্ষতার ভিত্তিতে মন্ত্রনালয় পেয়েছেন। এক্ষেত্রে সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদের ব্যাপারটা আলাদা। তথ্য মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা হিসাবে নাহিদ ইসলামের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কোনোটাই আসলে সেইভাবে নেই। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ে আসিফ মাহমুদের নিয়োগ আপাতদৃষ্টিতে ঠিক মনে হলেও শ্রম মন্ত্রনালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয়ে তার নিয়োগকে অনেকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছেন। তবে মোটা দাগে বর্তমান সরকারকে মেরিটোক্র্যাট বলা যায়। তাই জনগণ হয়তো আশা করেছিল যে এক মাসেই কোন যুগান্তকারী পরিবর্তন আমরা দেখতে পাবো।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় এইদিক দিয়ে সবচেয়ে ব্যর্থ মন্ত্রনালয়। অথচ দেশের স্ট্যাবিলিটির জন্য এই মন্ত্রনালয়ের সবচেয়ে শক্ত ভূমিকা পালন করার কথা। সেটা তো হয়ই নাই, বরং দেশ চলে গেছে মবের নিয়ন্ত্রণে। ট্রাফিক পুলিশ বাদে ফোর্সকে কোথাও উল্লেখযোগ্যভাবে এক্টিভ দেখা যাচ্ছে না। এমনকি থানায় গিয়ে মামলা দিলে সেই মামলা নেওয়ারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। এটা অবশ্য শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের অনাচারের ফল। পুলিশে এত বছরের দলকানা নিয়োগের ফলে আওয়ামীলীগ বাদে অন্য কোন সরকার যে সহজে নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে না এটা অনুমিতই ছিল।
এখানে দৃষ্টিকটু একটা বিষয় হলো হঠাৎ করে উপদেষ্টাদের পদবদল। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাখাওয়াতের পাবলিক প্রেজেন্স বেশ ভালো ছিল। উনি শুরু থেকেই পুলিশ বাহিনীর সংস্কারের কথা বললেন। আন্দোলনকারী পুলিশের সাথে আলোচনা করে অতিদ্রুত তাদেরকে কাজে ফেরানো হলো। বেশ কিছু সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হলো। কিন্তু তার এক বক্তব্যে আওয়ামীলীগকে দল গুছিয়ে রাজনীতিতে ফিরে আসার আহবান দেওয়ায় তাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হলো। অথচ সরিয়ে দেওয়ার আগেই তিনি এ ব্যাপারে ক্ষমা চেয়েছেন। ব্রিগ. জেনারেল শাখাওয়াতের জায়গায় আসলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর। আসার পর থেকেই তাকে জনসম্মুখে খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। এদিকে পুলিশের রিফর্ম যেটা হওয়ার ছিল সেটা দৃশ্যত থমকে গেছে। আব্দুলাহিল কাফির মতো কুখ্যাত অফিসাররা প্রমোশনও পেয়ে গেছিলেন। এদিকে মব একেরপর এক বিধ্বংসী কাজ করলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনরূপ হার্ড অ্যাকশনে যাচ্ছে না। দুর্গাপূজার সময়ে নিরাপত্তায় নাকি ভলান্টিয়ারদের নামানো হবে যেখানে এদের নিরাপত্তার ভার নেয়ার কথা রাষ্ট্রের। অন্যদিকে চাঁদাবাজি বন্ধেরও কোন নাম নেই।
আমাদের মনে রাখতে হবে, আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হলে জনগণের মধ্যে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভয় দুটোই থাকা লাগে। ১৫ বছরের দুঃশাসনের মাধ্যমে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা যে থাকবে না সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ভয়টাও উবে গিয়েছে। বরং এখন মানুষ জানে যে তারা চাইলেই কয়েকশত মানুষ নিয়ে থানা ঘেরাও দিতে পারে। শুধু থানা নয়, সচিবালয়ের মতো নিরাপদ জায়গায় ঢুকে সচিবকে জিম্মি করার ঘটনাও আমরা দেখেছি। এক্ষেত্রে উপদেষ্টা হিসাবে সাবেক আইজি অথবা এরকম কাউকে নেয়া যেত যার পুলিশ হিসাবে মাস কন্ট্রোলের অভিজ্ঞতা আছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় মোটা দাগে ব্যর্থ এ ব্যাপারে সন্দেহ নাই।
এদিকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের অবস্থা উলটো। মিলিটারি বেশ ভালোই কাজ করছে। কিন্তু এরা যতদিন রাস্তাঘাটে পুলিশের কাজ করবে, ততদিন প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় একটা ছিদ্র থেকে যাবে। এখানে দৃষ্টিকটু আরেকটা ব্যাপার হলো, শেখ হাসিনার দোষর অনেকেই এখনো বহাল তবিয়তে। জিয়াউল আহসান বাদে আয়নাঘরের মাস্টারমাইন্ড কাউকেই ধরা হয় নাই। আয়নাঘরের বন্দীরাও সবাই ছাড়া পেয়েছে নাকি, কিংবা আর কাউকে আবার বন্দী করা হবে নাকি এমন কোন নিশ্চয়তা নাই। ৫৫ ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের কমান্ডার মিলিটারি প্রটোকল ভেঙ্গে শেখ হাসিনাকে পায়ে ধরে সালাম করতো। সে এখনো কোনরূপ সমস্যা ছাড়াই ফোর্সকে সার্ভিস দিচ্ছে। বিমানবাহিনীতে বেনামে নিয়োগের ব্যাপারটাও সামনে আসলো। ভুল তথ্য দিয়ে বিমানবাহিনীতে অফিসার বনে যাওয়া সেই ব্যক্তির সিকিউরিটি ভেরিফিকেশন কারা করেছে সেটাও জানা যায় না। এসব ঘটনা দেশের জন্য চিন্তার বিষয়, বিশেষ করে যখন আমাদেরকে তিন দিক থেকে ঘিরে রয়েছে বৈরি ভাবাপন্ন একটা দেশ। আর্মিতে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অনুগত লোকেরা যতদিন থাকবে, দেশ ততদিন একটা বিশাল শংকায় থাকবে।
এদিকে আইন মন্ত্রনালয়ের অবস্থাও অনেকটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মতো। যে বক্তব্যের পর ব্রিগ. জেনারেল সাখাওয়াতকে পাট মন্ত্রনালয়ের মতো অগুরুত্বপূর্ণ একটি মন্ত্রনালয় দেয়া হলো, সেই একই বক্তব্য আসিফ নজরুলও দিলেন। আওয়ামী লীগকে বললেন ঐতিহ্যবাহী দল এবং তাদেরকে নিষিদ্ধ না করার মতো সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। যেখানে আইসিটির মতো কুখ্যাত ট্রাইবুনাল বিলুপ্ত করে দেয়ার কথা, সেখানে উনি এটার মাধ্যমেই শেখ হাসিনার বিচারের সিদ্ধান্ত নিলেন। একই সাথে ব্যারিস্টার তাজুল ইসলামের মতো উকিল যিনি নিজে আইসিটির অবিচার সামনে থেকে দেখেছেন, তাকে চিফ প্রসিকিউটর বানানো হলো। খেয়াল রাখতে হবে যে যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট এর আগে একটি রায়ে আইসিটির রায়সমূহকে অবৈধ ঘোষণা করেছে কারণ এখানে প্রথাগত আইনের অনেক কিছুই মানা হয় না। আইসিটির অধীনে শেখ হাসিনার বিচার করে যে আইসিটির ভিক্টিমদের প্রতি জুলুম করা হলো। একই সাথে অন্যায়কারীদের অনেকের বিচারও প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এছাড়া সাংবাদিকতায় তেমন অভিজ্ঞতা না থাকা মাহবুব মোর্শেদকে বাসসের পরিচালক কিংবা প্রায়শই শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করা সৈয়দ জামিল আহমেদকে শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক হিসাবে নিয়োগও আসিফ নজরুল দিয়েছেন। সাইবার সিকিউরিটি আইন ব্যবহার করে ফাঁসানোদের ছেড়ে দেওয়ার কথা বললেও সেই আইন বাতিল করা নিয়ে কিছু বললেন না। জসীমউদ্দীন রাহমানির মতো চিহ্নিত সন্ত্রাসীদেরকে যে ছেড়ে দেয়া হলো, সেটাও আইন মন্ত্রনালয়ের এখতিয়ারে। রাহমানি এখন তার ওয়াজে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে মবকে আরও উস্কে দিচ্ছে। একই সাথে দুর্নীতিবাজ সাহেদ আহমেদ সহ অনেককেই জামিন দেয়া হয়েছে যেগুলো আইন মন্ত্রনালয়কে কেবল প্রশ্নবিদ্ধ করে গেছে।
Muhammad Yunus signs the oath book as the country's head of the Interim Government
Picture: Reuters
অন্যদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অসম্ভব ভালো কাজ করছে। ইতোমধ্যেই ভারতকে বিভিন্ন ইস্যুতে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। স্বর্ণা দাসের ঘটনায় ঢাকা থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে যেখানে আগে শুধু বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক হতো। আবার বন্যা ইস্যুতেও ভারতের হাইকমিশনারকে তলব করা হয়েছে। এছাড়াও ভারতীয় মিডিয়াতে গণুভ্যুত্থানের অপপ্রচার নিয়েও কথা বলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বৈধতা পাওয়া গেছে। জাতিসংঘ আমাদের পক্ষে ভারতের এগেইন্সটে স্টেটমেন্ট দিয়েছে। সরকারের আরেকটা অসাধারণ কাজ হলো গুমের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সাইন করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে আটক বাংলাদেশিদেরকেও ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা হয়েছে। উপদেষ্টা তৌহিদ আলম একজন যোগ্য লোক, এ ব্যাপারটা তার চাকরিকালীন অভিজ্ঞতা দেখলেই বুঝা যায়। এক্ষেত্রে ড. ইউনুসের অংশগ্রহণও উল্লেখযোগ্য।
অর্থ মন্ত্রনালয়ের কাজও বর্তমান প্রেক্ষাপটে বেশ প্রশংসনীয়। গণঅভ্যুত্থানের পর মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার কথা কিংবা ডলার রেট আকাশ ছোঁয়ার কথা। কিন্তু সেটা হয় নি। মুদ্রাস্ফীতি কমেছে ১.১৭%। ডলার রেট প্রায় আগের মতোই আছে। একদিকে রেকর্ড হারে রেমিট্যান্স আসছে। অন্যদিকে হুন্ডির দৌরাত্ম্য কমে গেছে। এতো বছরের মধ্যে প্রথমবার কার্ব মার্কেটে ডলারের এক্সচেঞ্জ রেট ব্যাংক রেটের চেয়ে কম। খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্যও কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে কিছু জায়গায় খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ার খবর দেখ গেছে যদিও পাইকারি বিক্রেতারা এক্ষেত্রে খুচরা বিক্রেতাদের দোষ দিচ্ছেন। আশা করা যায় এই সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা অর্থনীতিবিদ আছে এটা বেশ ভিজিবল। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং পাচার করা টাকা ফেরত আনাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
৭১ নিয়ে অনেকগুলো বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে নিরপেক্ষ ট্রুথ কমিশন ফর্ম না করায়। এই ভুল আমরা আবার করছি। ২৪ নিয়ে কোন ট্রুথ কমিশন গঠন করা হয় নাই। প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা আমরা জানি না। ফিল্ড লেভেলে কারা হাসিনার নির্দেশ এক্সিকিউট করেছে সেই তালিকা এখনো প্রস্তুত করা হয়নি। উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম জানালেন যে শহীদদের লিস্ট বানানো হচ্ছে এবং এই পর্যন্ত ৮০০ জনের মতো একটা তালিকা হয়েছে। কিন্তু এগুলাতো আগে থেকেই সবারই জানা। আগস্টের শুরুর দিকেই ৬০০ জনের লিস্ট এসেছে, বিভিন্ন সংগঠনের প্রচেষ্টায়। এমনকি এই তালিকা কারা করছে, মেথডোলজি কি হবে তার কোন তথ্য প্রকাশ করা হয় নাই। আশুলিয়া, যাত্রাবাড়ির শহীদদের প্রতি সরকার আদৌ কতটুকু ইনসাফ করছে সেটাই মূল প্রশ্ন।
একই জিনিস আহতদের বেলায়। মাঝে বলা হলো যে আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব সরকার নিবে। সরকারি হাসপাতালে বিনা মূল্যে চিকিৎসা আর বেসরকারি হাসপাতালে ফি কমানোর কথা। এরপর এ ব্যাপারে আর কিছুই জানি না। অথচ এদের পুরো দায়িত্বই সরকারের নেয়া উচিত। অনেকের চিকিৎসাই দেশে করা সম্ভব না। তাদেরকে বিদেশে সুচিকিৎসার জন্য কেন পাঠানো হবে না সেই প্রশ্ন থেকে গেল। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের যেই চেষ্টা দেখা যাচ্ছে, আহতদেরকে পুনর্বাসনের চেষ্টা সেই অর্থে কিছুই না।
বন্যার সময় সরকার কী পদক্ষেপ নেয় এটা দেখে অনেক কিছু অনুমান যেত। তবে সেরকম কিছুই দেখা যায়নি। বন্যায় এনজিও আর ভলান্টিয়ারদের ব্যাপক অংশগ্রহণ দেখা গেছে। সেনা, নৌ আর বিমানবাহিনীও প্রচন্ড এক্টিভ ছিল বিশেষ করে যেখানে ভলান্টিয়ারদের অ্যাকসেস ছিল না। বন্যার ব্যাপারে যেহেতু আগে থেকেই সতর্কতা থাকার কথা, সে হিসেবে সরকার সেটি সামাল দিতে মোটা দাগে ব্যর্থই বলা চলে। তবে বন্যা পরবর্তী রিলিফ কার্যক্রমের জন্য ড. ইউনুস ১০০০ কোটি টাকার ফান্ড সংগ্রহের কথা জানান যা আশাব্যঞ্জক।
শ্রম মন্ত্রনালয়ে আসিফ মাহমুদের নিয়োগ প্রশ্নবিদ্ধ বলেছিলাম। সেটার একটা প্রমাণ হচ্ছে ক্রমাগত গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলন। তাদের সাথে বসে ন্যুনতম মজুরি ও অন্যান্য ন্যায্য দাবিদাওয়াসমূহ নিয়ে কোন আশ্বাস দিতে না পারাও সরকারের ব্যর্থতা।
পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসানও ইতিমধ্যেই অনেকগুলো উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন। ১ অক্টোবর থেকে দেশের সুপারশপ গুলো পলিপ্রোপিলিন, পলিথিন এবং প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার করতে পারবে না। নদী দূষণ নিয়েও তিনি কাজ শুরু করেছেন। নদীর গণনা কাজ শুরু হচ্ছে এবং সে অনুযায়ী বাছাইকৃত নদীর দখল-দূষণ মুক্ত করার পরিকল্পনা হচ্ছে। বুড়িগঙ্গার জন্যও চেয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহয়তা। এছাড়াও আড়িয়াল বিলের মধে সকল অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে স্টেপ নেওয়ার কথা জানান। যদিও তার নেওয়া পদক্ষেপ গুলো কতটা সফল হবে এখনি বলা যাবে না তবে এবং পর্যন্ত নেওয়া পদক্ষেপগুলো আসলেই প্রশংসনীয়।
অন্তর্বতীকালীন সরকার বারবার বলছে তারা দেশ পুনর্গঠনে আগ্রহী। কিন্তু সেক্ষেত্রে তাদের কোনো রোডম্যাপ সরকার এখনো দিতে পারেনি। শুধু বিভিন্ন সময়ে খবরের শিরোনাম পাওয়ার মতো কার্যক্রমেই সীমাবদ্ধ। তবে আগের সরকার যেই স্থবির প্রশাসন রেখে গেছে, সেটাও একটা বড় কারণ। যদিও মোটাদাগে বলা যায় এই দেশের মানুষ এখনো এই সরকার নিয়ে আশাবাদী। আর এই আশার আলোকে এই সরকারের কাছে কোটি কোটি মানুষের একটি মাত্র আকুতি- যাতে বৃথা না যায় শহীদদের রক্ত।
The writeup was submitted via Publish Now on September 10, 2024. The article represents the view(s) of the Author(s) and does not necessarily represent the view(s) of What's Next Bangladesh.
Author's Information
Rafeed M. Bhuiyan
Computer Science,
Innopolis University.
Email: rafeedm.bhuiyan@gmail.com
Author's Information
Moshiur Rahman Shams
Civil Engineering,
Khulna University of Engineering and Technology .
Email: moshiurrahmann029@gmail.com